শার্শা উপজেলার নাভারন খাদ্য গুদামে সংরক্ষিত ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ১৫ হাজার বস্তা গোপনে বিক্রি করে পুরো টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া ঊঠেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ। বদলী জনিত কারণে নতুন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগেই এ লোপাটের ঘটনা ফাঁস হয়েছে।
একাধিক সুত্র মতে জানা যায়, নতুন ধান কেনার জন্য জেলা খাদ্য গুদাম থেকে নতুন বস্তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ কেজি চালের ১২ হাজার ৬ শত ও ৫০ কেজি চালের ২১ শত ৭০টি সহ নতুন খালি বস্তা বাইরের লোকের কাছে বিক্রি করে দেন আগের খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান। যার বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকার উপরে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন খাদ্য কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় প্রায় ১৫ হাজার নতুন বস্তা কম পেয়েছি। বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, বস্তা আত্মসাতের ঘটনাটি সঠিক নয়।
এ বিষয়ে যশোর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আত্মসাতের ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা তা তদন্ত করার পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি তদন্তটিম গঠন করা হবে এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বস্তা কেলেঙ্কারী ও লোপাটের ঘটনায় উক্ত খাদ্য কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা রয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রের দাবি।
ইয়ানূর রহমান